.

.

ঐতিহ্যবাহী গোমনাতী হাইস্কুল।আস্থা ফেরানো প্রয়োজন অভিবাবকদের মনে।

titu efetkhar | সোমবার, ডিসেম্বর ০২, ২০১৩ | 1 মন্তব্য(গুলি)




নীলফামারী  জেলার অন্যতম একটি প্রাচীন বিদ্যাপিঠ হলো,গোমনাতী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন, পাকিস্থানের তৎকালিন প্রেসিডেন্ট খাজা নাজিমুদ্দিনসে সময়ে এই বিদ্যাপিঠে থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে আসতেন  অত্র ইউনিয়ন এবং আশে পাশের ইউনিয়ন যেমন,ভোগডাবুড়ি (চিলাহাটি),বালাপাড়া থেকে অনেক ছাত্রছাত্রীবিদ্যালয়টির পাশেই এক সময় দুরের ছাত্রদের আবাসনের জন্য ছাত্রাবাস ছিল বলে জানান,বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র জনাব সুজা স্যারএছাড়াও সেসময় লজিং বা জাইগির প্রথা প্রচলন থাকায় বিদ্যালয়ের আসে পাশের বাড়ি গুলোতে লজিং থাকতেন দুর দূরান্ত থেকে আসা অনেক ছাত্রগোমনাতী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের খ্যাতি  ছিল এই জেলার বাইরেও
 বর্তমানে আশেপাশে অনেক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পূর্বের অনুপাতে শিক্ষার্থী কমে গিয়েছেএছাড়াও প্রধান শিকের পদটি নিয়ে বেশ কয়বছর ধরে স্থায়ী সুরাহা না হওয়ায় এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাথীদের আন্দোলনকে অনেক অভিবাবক সুদৃষ্টিতে দেখেননাএরকমই একজন অভিবাবক যিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষবাড়ির পাশের বিদ্যালয়টি সম্পর্কে  নেতিবাচক ধারনা পোষন করায় মেয়েকে ভর্ত্তি করিয়েছেন চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়েআর এ কারনে তিনি জমিজমা চুক্তিতে দিয়ে চিলাহাটিতে বাসা ভাড়া নিয়েছেনতিনি সকালে ছোটেন গোমনাতীর কর্মস্থলে আবার সন্ধায় ছোটেন চিলাহাটির ভাড়াটে বাসায়এরকম আরেক অভিবাবক যিনি একজন কৃষকতার মনেও এরকম বিরূপ ধারনা রয়েছে  কিন্তু ছেলেকে দুরের স্কুলে পড়ানোর সামর্থ না থাকায় এই বিদ্যালয়েই ভর্ত্তি করিয়েছেনবিদ্যালয়টির ফলাফল হতাসাব্যাঞ্জক না হলেও পূর্বের সুনাম ফিরিয়ে আনতে আরও উন্নত ফলাফল প্রয়োজনসচেতন মহল মনে করেন,উপরোক্ত বিষয়গুলির পূনরাবৃত্তি ভবিস্যতে না ঘটতে দিলে এবং প্রধান শিক্ষকের পদটির স্থায়ী সমাধান হলেই অভিবাবকদের মনে বিদ্যালয়টি সম্পর্কে একসময় ইতিবাচক ধারনার সৃষ্টি হবেবিদ্যালয়টির ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করে আস্থা ফেরানো খুবই প্রয়োজন

Category:

গোমনাতী ওয়েব সম্পর্কে:
নীলফামারী জেলার সকল সংবাদ এবং সকল তথ্য সবার আগে পেতে চোখ রাখুন গোমনাতী ওয়েবে।

1 টি মন্তব্য: